সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিতে থাকা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। প্রবা ফটো
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে এখানকার পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতুটি বেশ জনপ্রিয়। তবে দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন অবস্থায় থাকায় ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত স্থাপনাটির পাটাতনের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। কোথাও নাটবল্টু খুলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জোড়াতালি দিয়ে সচল রাখা হয়েছে ব্রিজটি। কিন্তু একটু অসতর্ক হলেই সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুই পাহাড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি সহজেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। জনপ্রতি ২০ টাকা করে টিকিট কেটে সরু একটি সিঁড়ি পার হলে দেখা মেলে ব্রিজটির। এটি পার হয়ে একটু ওপরে উঠলেই শিশুদের একটি বিনোদন পার্ক। সেই পার্কের সড়কের অবস্থাও খুব নাজুক। কিছু অংশের রাস্তা থেকে ইট সরে গেছে, ধসে গেছে মাটির কিছু অংশ। পার্কের অবকাঠামোগুলোও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। দীর্ঘদিনেও এটির উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার না হওয়ায় হতাশ দর্শনার্থীরা।
১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ তৈরির পর এই হ্রদটিকে পর্যটকবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮০ সালে দুই পাহাড়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে যাত্রা শুরু করে পর্যটন করপোরেশন। তবে এরপর থেকে আর উল্লেখযোগ্য কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। ফলে এখানকার পর্যটন ব্যবসাও একটি মাত্র সেতু আর পার্কের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অথচ সেখানে প্রচুর অব্যবহৃত জায়গা পড়ে আছে যেখানে দৃষ্টিনন্দন বহু স্থাপনা তৈরির সুযোগ রয়েছে।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে ডুবে যায় সেতুটি। তখন পর্যটক ও জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘রাঙামাটিতে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ এই ঝুলন্ত সেতু। এখানে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা হ্রদ ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। কিন্তু আমার ছোটবেলা থেকে এটিকে এখনও একই রকমের দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে এটি যে অবস্থায় রয়েছে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অবিলম্বে এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
কথা হয় কোম্পানীগঞ্জ থেকে আসা দুই পর্যটক নিয়াজ মোর্জেদ ও মো. ওয়াহিদের সঙ্গে। তারা বললেন, সেতুটি যেভাবে ঝুলছে এবং এর পাটাতন যেভাবে নড়বড়ে হয়ে উঠেছে তাতে এখানে হাঁটাচলা খুবই বিপজ্জনক। দ্রুত এটি মেরামত করা প্রয়োজন।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ঝুলন্ত সেতুর সংস্কার চলমান রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পাটাতন বদলে নতুন কাঠ লাগানো হবে। নতুন করে রঙ করা হবে।
তিনি বলেন, ঝুলন্ত সেতুটি আধুনিকায়নের দাবি দীর্ঘদিনের। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে সেতুসহ পার্কটির আরও উন্নয়ন করা হবে।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.