হবিগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:২৭ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৬ পিএম
শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে রবিবার সকাল থেকে হবিগঞ্জ টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রবা ফটো
নয় দাবিতে অনির্দিষ্টকালের
ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন হবিগঞ্জের পরিবহন শ্রমিকরা। এ কারণে রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল
থেকে হবিগঞ্জ বাসস্টেশন থেকে ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বাস চলাচল বন্ধ
রয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ সব সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার
কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ধর্মঘটের মধ্যেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাইরের জেলা থেকে আসা
যান চলাচল করছে।
বাস টার্মিনালে আসা
যাত্রী বানিয়াচং উপজেলার মশাকলি গ্রামের সুবলাল দাস বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে আমার গন্তব্য স্থানে যেতে পারছি না। এ ধরনের ধর্মঘট
অযৌক্তিক ও অমানবিক।’
জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ
ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী বলেন, ‘সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং ব্যবস্থা, পুলিশ দ্বারা
অ্যাম্বুলেন্স চালকদের হয়রানি বন্ধ করা, সদর হাসপাতাল পরিচালনা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে
শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম
সরকাকে প্রত্যাহারসহ নয় দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স
মালিক ও শ্রমিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন জেলার
কর্মরত সাংবাদিকরা। শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন বর্জন করেছেন
তারা।
হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের
সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস সাগর বলেন, ‘গত ১০ মার্চ রাতে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি
মোহাম্মদ নাহিজের মায়ের মৃত্যুর পর সদর হাসপাতাল থেকে তার বাসাতে মরদেহ নিয়ে যায়নি
প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালক। তা ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স চালকরা সম্প্রতি হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল
প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা অসুস্থ রোগী বহন
না করে রোগীদের অন্যান্য যানবাহনে যেতে বাধাগ্রস্ত করে থাকেন। তাদের নির্যাতনে জেলাবাসী
এক প্রকার অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে।’
সম্প্রতি হবিগঞ্জ চিফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ অসুস্থ হলে সদর হাসপাতালে যান। তবে
অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের কারণে তার গাড়ি হাসপাতালের গেটে যেতে পারেনি। তিনি অনেক
দূর জায়গা হেঁটে হাসপাতালের ভেতরে যান। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালের ভেতর থেকে অ্যাম্বুলেন্সগুলো
বের করে। এ সময় কাগজপত্র না থাকার কারণে দুটি অ্যাম্বুলেন্সকে জরিমানা
করা হয়। এরপর গত ৯ মার্চ থেকে জেলায় প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও শ্রমিক সমিতির
ডাকে কর্মবিরতি চলছে।