ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৬:১৩ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫২ পিএম
মাটি পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়া সড়ক। ফটিকছড়ি-রামগড় মহাসড়কের পাইন্দং ইউনিয়নের ফকিরাচাঁন এলাকা থেকে রবিবার সকালে তোলা। প্রবা ফটো।
মাটি পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়া সড়কে দুর্ঘটনায় পড়ে একটি মোটরসাইকেল। ফটিকছড়ি-রামগড় মহাসড়কের পাইন্দং ইউনিয়নের ফকিরাচাঁন এলাকা থেকে রবিবার সকালে তোলা। প্রবা ফটো।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে ইটভাঁটার ট্রলি ও ড্রামট্রাক থেকে মাটি ও বালু পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে এই মাটি-বালু কাদা হয়ে এসব সড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এতে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ইটভাঁটা রয়েছে। এসব ভাঁটায় ইট তৈরির জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফসলি জমির মাটি। জমি থেকে খননযন্ত্র (স্কাভেটর) দিয়ে মাটি কেটে ট্রলি ও ড্রামট্রাকে করে এসব মাটি পরিবহন করা হয়।
বহনের সময় গাড়ি থেকে পড়া মাটি বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। বৃষ্টির পানিতে পাকা সড়কের ওপর পড়ে থাকা ওই মাটি কাদা হয়ে মরনফাঁদে পরিণত হয়। এতে এসব সড়কে চলাচল করা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ফটিকছড়ি-রামগড় মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কাদা পড়ে আছে। পথচারীরা সড়কে চলাচল করতে পারছেন না। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা। সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বেশ কিছুদিন সড়কের মাটিতে ধুলায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন বৃষ্টিতে সড়কগুলো কাদা হয়ে গেছে।
মোটরসাইকেল আরোহী মামুন বলেন, ’ইটভাঁটার মাটিবাহী যানবাহন থেকে সড়কে পড়ে যাওয়া মাটি রোদে শুকিয়ে ধুলা আর বৃষ্টিতে কাদায় পরিণত হয়। দেখে বোঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং সড়ক। এতে সারা বছরই সড়কগুলোতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’
ভুজপুর থেকে বিবিরহাটে আসা মোটরসাইকেলচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘ভুজপুর থেকে পেলাগাজী দিঘি মোড় পর্যন্ত এ কয়েক কিলোমিটার সড়কে আসতে যে কষ্ট হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এমনকি রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকবার পড়েও গেছি।’
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. ইয়াছিন বলেন, ’কিছু অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীর কারণে পিচ-ঢালাই সড়কেও গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়।’
নারায়ণহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বেলাল উদ্দিন আকাশ বলেন, ’কলেজে যেতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির রাহমান সানি বলেন, ’বিষয়টি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।’