দুবাইয়ে জুলেয়ারি শপ খুলে চমকে দেওয়া পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে আরাভ খানকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ‘রেড নোটিশ’ জারি করতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে ‘রেড নোটিশ’ সংস্থাটি জারি করেছে বলে পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে। তবে সোমবার রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত ইন্টারপোলের রেড নোটিসের তালিকায় বাংলাদেশের ৬২ জনের নাম পাওয়া যায়। সেখানে রবিউল ইসলামের নাম পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ইন্টারপোলের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যারা অন্তর্ভুক্ত তারা এই নোটিশটি দেখতে পেয়েছেন। অন্যরা দুই থেকে তিন দিন পর দেখতে পাবেন।
এর আগে এদিন দুপুরে চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকায় এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন করতে গিয়ে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে ধরতে ইন্টারপোলের কাছে আগে আমরা চিঠি পাঠিয়েছিলাম। ইন্টারপোল সেটি গ্রহণ করেছে বলে জানতে পেরেছি। পরবর্তী করণীয় ইন্টারপোল করবে।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘‘নোটিশ অবশ্য ‘আরাভ খান’ নামে হবে না। এসবি পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় এ আসামির যে নাম আছে, সেই ‘রবিউল ইসলামের’ নামে নোটিশ জারি করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুনেছি ইন্টারপোল সেটা গ্রহণ করেছে।’’
আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক এক কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজনের কথা আমরা খতিয়ে দেখছি। উপযুক্ত সময়ে আপনাদের তা জানাব।’
পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে নিয়ে গত বুধবার প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ সাড়া সাগানো প্রতিবেদনের পর দেশ-বিদেশে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমলোচনা চলছে। প্রতিদিনই তার অন্ধকার জীবনের চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসছে। একপর্যায়ে পুলিশও আরাভ খানকে দেশে ফেরাতে নড়েচড়ে বসে। প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আরাভ খানকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে। সেই সহযোগিতার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলে আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদন কার্যকর হওয়ার তথ্য প্রকাশ করল পুলিশ সদর দপ্তর।