× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নেত্রকোণা শহরের পুকুর

সংস্কার ও রক্ষার দাবি তিন সংগঠনের

নেত্রকোণা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ২১:১৭ পিএম

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩ ২১:৩৭ পিএম

শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র রক্ষা কমিটি এ স্মারকলিপি দেয়। প্রবা ফটো

শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র রক্ষা কমিটি এ স্মারকলিপি দেয়। প্রবা ফটো

একসময় নেত্রকোণা ছিল পুকুরের শহর। ৪৫টির মতো পুকুর ছিল এখানে। প্রতিবছরই ভরাট হতে হতে বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১১টি। এসব পুকুর সংস্কার ও রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা তিনটি সংগঠন- উজ্জীবিত নেত্রকোণা, বাংলাদেশ রির্সোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে এ স্মারকলিপি দেয়।

এ সময় উজ্জীবিত নেত্রকোণার গবেষণা সেলের সদস্য সোহরাব উদ্দিন আকন্দ, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি নাজমুল কবীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।  

সোহরাব উদ্দিন আকন্দ বলেন, একটি শহরকে শীতল রাখার জন্য জলাধার ও পুকুরের প্রয়োজন। তা ছাড়া একটি পুকুর বছরে লাখ লাখ টাকার বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে দিতে পারে। শহরে আগুন লাগলে পুকুর থেকেই পানি সংগ্রহ করা হয়। মানুষ গোসল করে, কাপড় কাচে, পানি সংগ্রহ করে, সাঁতার কাটে। পুকুর না থাকায় মানুষ ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ফলে দিন দিন পানির স্তর নিচে চলে যাচ্ছে।

অহিদুর রহমান বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর প্রাকৃতিক জলাধার বলে হাইকোর্টেও এক রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ে মহানগর ও বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, পৌর এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ডভুক্ত পুকুরগুলো ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইনের ২ (চ) ধারায় প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই এগুলো ভরাট করা দণ্ডনীয়। 

নাজমুল কবীর সরকার বলেন, শহরে বড় পুকুর, উপজেলা পুকুর, হাসপাতালের সামনের পুকুর, মোক্তারপাড়া পুকুর, চন্দ্রনাথ কলেজ পুকুর, নেত্রকোণা সরকারি কলেজ পুকুরসহ কিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর রয়েছে। পৌরশহর ও উপজেলা সদরের ঘনবসতি এলাকায় এসব পুকুর সংস্কার না হওয়ায় পানি যেমন ব্যবহার করা যাচ্ছে না, তেমনি পুকুরগুলো মশার উৎপত্তিস্থলে পরিণত হয়েছে। এসব পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানা জমে ভরাটপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারহীন অবস্থায় থাকা এসব পুকুরের পানিও ব্যবহারের অযোগ্য। অনেকে ব্যক্তিগত পুকুর ভরাট করে আবাসন করছে। এমতাবস্থায় পুকুরগুলো সংস্কার ও রক্ষা করা জরুরি। এ জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা