নুপা আলম, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩ ০৯:১১ এএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩ ১০:২৬ এএম
দুবাইয়ে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের (মাঝে) সঙ্গে কক্সবাজারের শেফায়েত হোসেন জয় (আরাভের বাঁয়ে) ও জসিম উদ্দিন নাহিদ। ফটো সংগৃহীত
পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ওরফে আপনের বিশ্বস্ত দুজন সহযোগী কক্সবাজারে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সম্পর্কে দুলাভাই-শ্যালক এ দুজনকে কক্সবাজারে তার ডিলার মন্তব্য করে আরাভ খান এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘জয় ও জসিম কক্সবাজারের মাফিয়া। জয় কিলার, আর জসিম আগামী নির্বাচনে এমপি (সংসদ সদস্য) প্রার্থী।
জয় ও জসিমকে সঙ্গে নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া একটি লাইভ ভিডিওতে আরাভ খান এসব কথা বলেন। ভিডিওটি নিয়ে কক্সবাজারে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
আরও পড়ুন : দুবাইয়ের ‘নিরাপদ’ আশ্রয় ছাড়ছেন আরাভ খান
আরাভ খানের সঙ্গে লাইভে থাকা কক্সবাজারের দুই যুবক হলেন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন দুলালের ছেলে শেফায়েত হোসেন জয় ও তার দুলাভাই জসিম উদ্দিন নাহিদ। তারা প্রতি মাসেই দুবাই যাওয়া-আসা করেন বলেও জানা গেছে।
কক্সবাজারের স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, জসিম উদ্দিন নাহিদের দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা নেই। কয়েক বছর আগে তিনি কক্সবাজারের রিগ্যাল প্যালেস নামের একটি আবাসিক হোটেলে ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন। কিন্তু কয়েক বছরে তিনি রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকায় দুটি ফ্ল্যাটের মালিক বনে গেছেন। চলেন দামি গাড়িতে। শ্যালক জয়ও তার সঙ্গে থাকেন।
আরও পড়ুন : ফাঁকা আরাভ জুয়েলার্স
ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর তা নজরে আসে ফেনীর ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব ওরফে রকির। জসিম ও জয়কে নিয়ে ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তিনি।
রকি বলেন, কাতার বিশ্বকাপ দেখে দেশে ফেরার পথে প্রবাসে থাকা পরিবারের সদস্যদের ৬০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে ফিরছিলেন চারজন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কথিত বন্ধু জসিম উদ্দিন নাহিদ। ফেরার পর বিশ্রামের অজুহাতে জসিমের রাজধানীর বসুন্ধরার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান তাদের। স্বর্ণসহ মালামাল রেখে নাশতা করার কথা বলে চারজনকে নিচে নামান জসিম। এই সুযোগে আগে থেকে বাসায় অবস্থান করা তার শ্যালক জয় ৬০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে সটকে পড়েন।
আরও পড়ুন : আরাভ খান মডেল পরিচয়ে ভাড়া থাকতেন রামপুরায়
আবু তৈয়ব বলেন, যেসব বাংলাদেশি দুবাই স্বর্ণ কিনতে যান, তাদের টার্গেট করেন জসিম ও জয়। দেশে ফেরার পর সেই স্বর্ণ লুট করেন তারা।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য জসিম উদ্দিন নাহিদ ও শেফায়েত হোসেন জয়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। জয়ের বাবা ও জসিমের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন দুলালও ফোন ধরেননি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দায়িত্বশীল কেউ জানালে দ্রুত যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।