গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৩ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৩ পিএম
ইহাম হোসেন।
গাজীপুর শহরের জোড়পুকুর এলাকায় মুরগির ব্যবসা করেন বেলাল হোসেন। তার ছেলে ইহাম হোসেন গাজীপুরে নানা অপরাধে জড়ানোর পর বছর খানেক আগে দুবাই যান। এখন তাকে প্রায়ই পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খানের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।
ইহাম হোসেনের কয়েকজন বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাবার একমাত্র ছেলে ইহাম কৈশোরেই বখে যান। গাজীপুর সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভর্তি হলেও কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসাও করেন। কলেজে অনুপস্থিতি ও উচ্ছৃঙ্খলার কারণে কলেজ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে।
বাবা বেলাল হোসেন বলছেন, ‘আমার ছেলে উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে। সে আমার কথা শোনে না। বছর খানেক আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাকে জানাল সে দুবাই যাবে রাতের ফ্লাইট। আমি এ বিষয় কিছুই জানতাম না। আমার কাছ থেকে কোনো টাকাপয়সাও নেয়নি। বখাটে হওয়ায় আমিও আর বাধা দেইনি। দুবাই গিয়ে কী করে জানা নেই। আমার সঙ্গে খুব কম কথা হয়। কোনো টাকাপয়সাও দেয় না। তবে আরাভ খান বা কার সঙ্গে চলে তা আমার জানা নেই।’
তার নিকটতম বন্ধুরা জানান, ইহাম একেক সময় একেক কথা বলেন। কখনও বলেন গোল্ডের ব্যবসা করেন, কখনও বলেন ফ্লাটের ব্যবসা করেন। ইহামের সঙ্গে চলতেন এমন আরও ৮-১০টা ছেলেও ছয়-সাত মাস আগে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই গেছেন বলে শোনা গেছে। তবে কাগজপত্র করে দিতে না পারায় তাদের দুজন জেলে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ইহামের বন্ধুরা বলছেন, ইদানীং আরাভ খানের সঙ্গে ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও আপলোড করেন ইহাম হোসেন। তাতে বোঝা যায় তার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তা ছাড়া পরিবার থেকে টাকাপয়সা না নিয়ে ইহাম কীভাবে দুবাই গেছেন সেই প্রশ্নও বন্ধুদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
২৪ বছর বয়সি ইহামের কয়েকজন বন্ধু বলছেন, গাজীপুরের জোরপুকুরে তারা তিন বন্ধু কফিশপ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে টাকা মেরেছেন ইহাম। এ ছাড়া বন্ধুসহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হতেন ইহাম। এমন একটি বিবাদে জড়িয়ে পড়লে ২০১৭ সালে থানায় মামলা হয়।