ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৯:২৯ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩ ০০:২৫ এএম
ছাত্রলীগ নেতা হদয় ও তার ভাই নয়নকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংগৃহীত ফটো
ফেনীর সোনাগাজীতে সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী হৃদয় নামে এক ছাত্রলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাই নয়ন উদ্দিন চৌধুরী এবং যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকেও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
এ ঘটনায় রবিবার (২৬ মার্চ) যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—আরিফ হোসেন, তার ভাই সাইফুল ইসলাম, নেজাম উদ্দিন মাস্টার, মো. নাঈম, মো. রিফাত, মো. অন্তর, মো. আরাফাত, মো. মেজবাহ, মো. রাহাত, মো. আরমান, আমজাদ হোসেন, মো. হায়দার, মো. মিরাজ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ জন।
ছাত্রলীগ নেতা হদয় ও তার ভাই নয়নকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং যুবলীগ নেতা মোশারফকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের বাঁশতলা এলাকায় শনিবার (২৫ মার্চ) রাতে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নেজাম উদ্দিন মাস্টার এবং মো. নাঈম নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে চরডুব্বা গ্রামের বাসিন্দা ও যুবলীগ কর্মী আরিফ হোসেন এবং সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি দল ইফরান হোসেন নামে এক দোকান কর্মচারীর ওপর হামলার উদ্দেশে তেড়ে যায়। এ সময় যুবলীগ নেতা মোশারফ হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন। তখন যুবলীগ কর্মীরা মোশারফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়ের পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। হৃদয়ের চিৎকারে তার ছোট ভাই নয়ন এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ’অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরণ বলেন, ‘দুই গ্রুপেই আমাদের দলের লোকজন। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’