পটুয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩ ২১:২২ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩ ২১:৪২ পিএম
পায়রা দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্রবন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল। রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বন্দরের সম্মেলন কক্ষে ড্রেজিং কার্যক্রম শেষে চ্যানেল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যাপিটাল ড্রেজিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে পায়রা দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্রবন্দরে রূপান্তরিত হলো। এ সময় পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক জান মঈন, স্কিম পরিচালক রাজিব ত্রিপুরাসহ বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের ফলে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দৈর্ঘ্য এবং ১১০ থেকে ২০০ মিটার প্রস্থের চ্যানেলটির গভীরতা ১০ দশমিক ৫ মিটারে উন্নীত হয়েছে। এর ফলে প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল সহজে এবং প্রতিনিয়ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। ৪০ হাজার মেট্রিক টন পণ্যবোঝাই জাহাজের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের লাইটার জাহাজের প্রয়োজন হবে না। এতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ড্রেজিংই নয়, সমানতালে এগিয়ে চলছে বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণকাজও। মে মাসে এ কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়া বাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে।’
সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নূল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তারা মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং করবে।