বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল জাতি

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং সাড়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। 

মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে রূপগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। 

উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় অবস্থিত রংধনু গ্রুপের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাঙালি জাতি আঘাত খেয়েছে বারবার কিন্তু কখনও আহত পাখির মতো আর্তনাদ করেনি। ভেঙে পড়েনি ব্যর্থতার ক্রন্দনে। সমস্ত আঘাত বুকে পেতে নিয়েছে সর্বাঙ্গে রুধির মেখে। অবিচারের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর লড়াই-সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে বিজয়- লাল-সবুজের পতাকা সংবলিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বাশার টুকুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, সহসভাপতি আলাউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য করিম পাঠান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর ভূঁইয়া ও আলতাফ হোসেন, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট যতীন্দ্র বাবু, দপ্তর সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সদস্য শমসের আলী, হাজী আমিন হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন। 

অন্যদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল হোসেন, মো. জলিল ভূঁইয়া, সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।