সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে হত্যার ১৪ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সাতক্ষীরায় শিউলী খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল।

সাজাপ্রাপ্তের নাম মোস্তফা বিশ্বাস। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের বাসিন্দা।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জহুরুল হায়দার বাবু প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথির বরাতে তিনি জানান, ২০০৯ সালে মোস্তফা বিশ্বাসের সঙ্গে শিউলী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মোস্তফা বিশ্বাস ও তার পরিবার শিউলীকে নির্যাতন করত। একপর্যায়ে তারা শিউলীর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা ও তিন ভরি সোনা দাবি করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিউলী তার বাবার বাড়ি তালা উপজেলার রঘুনাথপুরে চলে যান। 

২০০৯ সালের ১৬ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টায় মোস্তফা ও তার বাবা আমজেদ শিউলীদের রঘুনাথপুরের বাসায় তাকে আনতে যান। বাসায় কেউ না থাকায় সকাল ৮টার দিকে তারা শিউলীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের দরজা লাগিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলেন। পরে তারা প্রাথমিকভাবে শিউলীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় শিউলীর বাবা মো. আব্দুস সবুর ২০০৯ সালের ৪ আগস্ট তালা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বলেন, ‘১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মোস্তফা বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আসামির বাবা আমজেদ বিশ্বাসকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মোস্তফা বিশ্বাস বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।'