চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ২২:১০ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩ ২২:৪০ পিএম
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগি সরবরাহ। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগি সরবরাহ। এতে গত এক সপ্তাহে দাম কিছুটা কমলেও আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বুধবার (২৯ মার্চ) প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।
মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এখন দাম আবার বাড়ছে। সামনে দাম আবারও বাড়বে বলে তারা জানান।
নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জমির হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দামের দ্রুত ওঠানামার কারণে বাজারে মুরগি সরবরাহ কমেছে। গত কয়েকদিন দাম কমে যাওয়ার পর আবার তা বেড়েছে। এখন খামারিরা মুরগি কম বিক্রি করছেন। আজ সকালে ফটিকছড়িতে মুরগির জন্য একটি গাড়ি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মুরগি না পেয়ে দুপুরে গাড়িটি খালি এসেছে।’
জমির হোসেন আরও বলেন, ’বাজারে মুরগির সরবরাহ আরও কমবে। কারণ চলতি মাসে খামারিরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বাচ্চা পায়নি। যাদের খামারে ৫ হাজার বাচ্চা দরকার, তারা পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ পিস।’
এর আগে গত ছয় দিনে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দাম কমেছে। পাঁচ দিন আগে গত শুক্রবার চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। এরপর বাজারে হঠাৎ কমতে থাকে মুরগির দাম। দুই দিনের ব্যবধানে কমে যায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ২৫০ টাকার ব্রয়লার মুরগি গত সোমবার প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। পরদিন মঙ্গলবার দাম আরও কমে বিক্রি হয় ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।
ধারাবাহিকভাবে মুরগির দাম কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার বাজারে মুরগি বিক্রি বেড়েছে। যে কারণে ওই দিন আবারও মুরগির দাম বাড়তে শুরু করে। দাম বাড়তে থাকায় অধিক লাভের আসায় মুরগি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন খামারিরা। এতে নগরীর বিভিন্ন বাজারে মুরগির সংকট তৈরি হয়েছে। বাজারে গিয়ে চাহিদামতো ব্রয়লার মুরগি পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
বুধবার বিকালে নগরীর হেমসেন লেন বাজারে মুরগি কিনতে যান তৈয়বুল ইসলাম। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘অফিসে হালিম রান্নার জন্য মুরগি কিনতে হেমসেন লেনে বাজারে যাই। বাজারে গিয়ে কোনো ব্রয়লার মুরগি পাইনি। দোকানদাররা জানিয়েছেন, বাজারে মুরগি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে খামারিরা। তাই আজ দোকানে কোনো মুরগি তুলতে পারেননি।’