রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৫ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪০ পিএম
রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারের একটি মুরগি দোকান। প্রবা ফটো
রাজশাহী নগরীতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সরকার ১৯০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও ব্রয়লার মুরগি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। এমন অবস্থায় রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে শুক্রবার কোনো অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সরেজমিনে নগরীর সাহেববাজার কাঁচাবাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
সাহেববাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি ৩০০, লেয়ার ৩০০ ও দেশি মুরগি ৫৭০, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা, বকরি ৮০০ ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।
ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, বড় ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকায়। এ ছাড়া ১ কেজি ওজনের মৃগেল মাছ ২০০, সিলভার কার্প ১৬০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, টেংরা ৫৫০-৬০০, শিং ৫০০, তেলাপিয়া ১৬০, বড় চিংড়ি ১ হাজার, বাঁশপাতা ১ হাজার ৪০০, বাতাসি ১ হাজার ২০০, ছোট চিংড়ি ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী আইনুল বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে জাতভেদে মাছের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ছোট চিংড়ি ছিল ৮০০, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। নদীর মাছের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।’
মাছের ক্রেতা তারেক মাহমুদ রাসেল বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই সরকার ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিল ১৯০ টাকা। দুই দিনের ব্যবধানে শুক্রবার বাজারে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম হলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনকে।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবারে বাজারে ভোক্তা অধিকারের দেখা মেলে না। অথচ প্রতি সপ্তাহে বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয় শুক্রবারেই।’
মুরগি ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, ‘খাবারের দাম ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির কারণে ফার্মের মালিকরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফার্ম থেকেই খুচরা ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার কিনছেন ১৯০ টাকা কেজি। এ কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দরে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে।’
রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘সরকার ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। দাম বেশি রাখার সুযোগ নেই। আমাদের একটি টিম বাজারে রয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’ তবে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীর সাহেববাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোনো টিমের দেখা মেলেনি।