বেড়া (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১৭ পিএম
সওজের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা। প্রবা ফটো
পাবনার ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক সংলগ্ন কাশিনাথপুর ও বেড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সওজের জায়গায় বারবার উচ্ছেদ অভিযান চালালেও প্রতিবারই দখল করে নিচ্ছেন প্রভাশালীরা। সবশেষ গত বছরের মার্চে অভিযান চালিয়ে এক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও এক মাস পরে আবারও দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট। দখল করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলের জায়গাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাশিনাথপুর হাটের মহাসড়কের জায়গা দখল হওয়ায় রাস্তা অনেকটা সংকুচিত হয়ে গেছে। আগে দোকানিরা সওজের খোলা জায়গায় বেচাকেনা করতে পারলেও এখন মহাসড়কে গিয়ে বসছেন। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও পণ্য মহাসড়কের ওপরে রেখে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। কাশিনাথপুরের গোলচত্বরের কাছে যে জায়গাটি গত ৩ মার্চে দখলমুক্ত করা হয়েছিল, সেখানে একটি অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে মাইক্রোবাসস্ট্যান্ড।
পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) জানায়, এ দুটি স্থানে গত ১০ বছরে পাঁচবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। প্রতিবারই দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আবার অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। কাশিনাথপুর ও বেড়া বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় বসে জেলার দুটি বড় হাট। এ কারণে দুটি স্থানে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তোলেন ব্যবসায়ীরা। হাট দুটি হলো কাশিনাথপুর ও করমজা চতুর হাট।
গত বছরের ৩ মার্চ সওজ কাশিনাথপুরে অভিযান চালিয়ে এক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এরপর মহাসড়কের ওই অংশ যানজট মুক্ত হয়। এর আগে একই জায়গায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই এবং বেড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১ আগস্ট প্রায় দেড় হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
পরিবহন শ্রমিকেরা জানান, বেড়া কাশিনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিনই যানজট লাগলেও হাটবারে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বেড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় শনি ও মঙ্গলবার এবং কাশিনাথপুরে রবি ও বৃহস্পতিবারে হাট বসে। তখন স্থান দুটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। আর এ যানজট প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা জানান, আপাতত টং ঘর তৈরি করে তারা ব্যবসা করছেন।
সওজের পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মনসুর আহমেদ বলেন, ‘বেদখল জায়গা আবারও দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে উদ্ধার করা জায়গা স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত রাখতে সেখানে বাগান করাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রমজান মাসে আমাদের অভিযান বন্ধ আছে। ঈদ পরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।’