কামরুল ইসলাম, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৩৬ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর জরুরি লেনটি সরু হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে গাড়ি চলাচল। প্রবা ফটো
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের দ্বিতীয় মেঘনা সেতুতে বর্তমানে তিন লেন চালু আছে। ইতোমধ্যে সেতুর জরুরি লেনটি বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এবার ঈদযাত্রায় এই সেতুতে যানজটে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর ১০ ফুট প্রস্থের একটি জরুরি লেন রাখা হয়েছে। এই সেতুর দক্ষিণাংশে জরুরি লেনের প্রবেশ মুখে বড় বড় পাথর ফেলে লেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জরুরি লেন দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৫০ মিটার বা প্রায় এক কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ১২টি স্প্যানের ওপর নির্মিত সেতুটি চার লেনের। ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের সেতুতে রাখা হয়েছে দেড় মিটার ফুটপাথ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাঁটানো বোর্ড থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার লেনের দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর উদ্বোধন করেন।
স্থানীয়রা বলেন, মেঘনা সেতু উদ্বোধনের কয়েক মাস পর থেকে জরুরি লেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই কয়েক মাসে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণেই এই লেনটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেতুর জরুরি লেনটির প্রবেশমুখ সরু হওয়ার কারণে এমন দুর্ঘটনা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
পথচারী জামালদী এলাকার মহসিন বলেন, মেঘনা সেতু ওপর গাড়ির চাপ সব সময় একটু বেশি থাকে। নতুন সেতু চার লেন হলেও গাড়ি চলাচল করে তিন লেনে। একটি লেন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে এই সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যানবাহনের চালকরা।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আমির হোসেন বলেন, ‘মেঘনা সেতুতে জরুরি লেন রয়েছেÑ এটাই জানি না। শুধু দেখেছি নতুন সেতুর একটি লেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যদি জরুরি লেন থাকে, তবে রোগীদের জন্য সুবিধা হবে।’
পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর একটি লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ লেনটির সংস্কার করে দ্রুত যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া দরকার। না হলে আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়বে যাত্রীরা।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, দ্বিতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের সময় জরুরি সেবার জন্য সেতুতে জরুরি লেন করা হয়েছে। কিন্তু আমি এখানে যোগদানের আগেই এই জরুরি সেবার লেনটি বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ হওয়ার পর থেকে লেনটি অপরাধীরা ব্যবহার করছে।
শাহানা ফেরদৌস আরও বলেন, এ লেন একটু সরু হওয়ায় বড় আকৃতির গাড়ি যাতায়তের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটত। শিগগির জরুরি সেবার লেনটি প্রশস্ত করে যাহবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।