শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:১৮ এএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৫৮ পিএম
শেরপুরে ঈদের কেনাকাটায় শহরের সব অভিজাত বিপণীবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রবা ফটো
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেষ সময়ে জমে উঠেছে শেরপুরের ঈদ বাজার। ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট শপিংমল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে চলছে বিরতিহীন বেচাকেনা। ঈদের কেনাকাটায় শহরের সব অভিজাত বিপণীবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতেও মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) শেরপুর শহরের নিউমার্কেট, শহীদ বুলবুল সড়ক, রঘুনাথ বাজার, মুন্সিবাজার এলাকার কাপড় ও জুতার দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ঈদের কেনাকাটা করছেন। শিশু, নারী, তরুণ ও তরুণীরা ঈদের পোশাক দেখছেন। বিপণিবিতানগুলোতে নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এবার ঈদ বাজারে নারী ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক বাহারি থ্রি-পিসে। থ্রি-পিসগুলোর নামও দেওয়া হয়েছে বাহারি রকমের। গারারা, নায়রা এবারের ঈদ বাজারে অন্যতম পোশাক হিসেবে সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া জেসান, টাইমলেস, বেনারস, ভিক্টোরিয়া, গ্যালাক্সী, বুটিকস, কারচুপি, লেহেঙ্গা, পার্টিগাউন, স্যামুসিল্ক, জর্জেট টুপার্ট নামের থ্রি-পিসগুলো সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পুরুষ ক্রেতারা কিনছেন জিন্সের প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ও পাজামা-পাঞ্জাবি। এ দিকে প্রয়োজনীয় প্রসাধনী কিনতে শহরের কসমেটিকসের দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন নারীরা।
ঈদে কেনাকাটা করতে আসা এক নারী ক্রেতা মাইমুনা আক্তার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এবার একটি খালারা থ্রি-পিস কিনেছি। এই গরমে থ্রি-পিস পরে সহজেই চলাফেরা করা যায়। তাই থ্রি-পিস কিনেছি। তবে অনন্যা ঈদের চেয়ে এবার থ্রি-পিসের দাম অনেক বেশি।
কসমেটিকসের দোকানগুলোতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার কসমেটিকস কিনতে তাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। কেননা প্রতিটি পন্যে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বেড়েছে দাম।
আল মদিনা কসমেটিকসের মালিক মো. সানি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এবার আমাদের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করছি আমরা। গতবছরের তুলনায় এবার বেশি লাভ করার আশা করছি।
ক্রেতাদের সুবিধার্থে শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের চতুর্দিকে প্রবেশমুখে ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল সীমিত করা হয়েছে। শহরে যত্রতত্র যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করেছে জেলা পুলিশ।