সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:২৮ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২৩ পিএম
সুনামগঞ্জের হাওরে শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব। প্রবা ফটো
সুনামগঞ্জের হাওরে শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব। এরই মধ্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে ধান কাটার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্রুত ধান কাটার চেষ্টা করছেন লাখো কৃষক। কেউ হারভেস্টার দিয়ে, কেউবা সনাতন পদ্ধতিতে। তাদের উৎসাহ দিতে জেলার ‘দেখার হাওরে’ ধান কাটার উৎসবে যোগ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাওরের পশ্চিম পাগলা এলাকায় আসেন তারা।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ’সকলের মুখে হাসি। ধান ঘরে তোলা নিয়ে অন্যান্য বছর যে দুশ্চিন্তা থাকত এবার তা নেই। ১ হাজার হারভেস্টার মেশিন দিয়ে সুনামগঞ্জে ধান কাটা হচ্ছে। জাতি হিসেবে এটা আমাদের অহংকার।’
পরে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে ওই এলাকায় এক অনুষ্ঠানে তিন মন্ত্রী, সচিব, কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ধান কেনার ঘোষণা দিয়ে বলেন, যত খুশি ধান দিতে পারবেন কৃষকরা। বর্তমান সরকারের নানা সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ’শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালে দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মরেনি।’
বিএনপির জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ’বিএনপি নির্বাচনে আসুক না আসুক, এটা তাদের ব্যাপার। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে।’ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েও তারা সেটি যাচাই করতে পারত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান নিজেকে কৃষকের সন্তান পরিচয় দিয়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ’মধ্যস্বত্বভোগী নয়, কৃষকের কাছ থেকেই ধান কেনা হবে। এই দেশের মালিক জনগণ। এই জনগণের কাছে আমরা দায়বদ্ধ।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ’আমাদের কাছে হাওরের বাঁধের জন্য ২৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা ১০০ কোটি টাকা দিয়েছি। যাচাই-বাছাই করে আর হয়তো ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। হাওরের খরচ অটোমেটিক কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।‘
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিরোধীদলীয় হুইপ ফজলুর রহমান মিসবাহ্, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখ্ত পলিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।