বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ২২:১০ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩০ পিএম
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রবা ফটো
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতের দিকে কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগেও ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়েছিল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রটির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দিয়েছিল। কেন্দ্রটি আবারও উৎপাদনে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়।
এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।