গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১১:১১ এএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১২:১২ পিএম
গাজীপুর দুই মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট। প্রবা ফটো
আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল পবিত্র ঈদুল ফিতর। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শেষ মুহূর্তে গ্রামে যাচ্ছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল থেকে নামে যাত্রীদের ঢল।
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে রাত থেকে মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে পরিবহন যা আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। অতিরিক্ত মানুষের চাপে কখনও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ঘরমুখো মানুষ।
রাতভর ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি, মৌচাক সফিপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত মহাসড়কে ছিল যানজট। কখনও কখনও ধীরগতিতে চলেছে যানবাহন। নবীনগর হয়ে জিরানি থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লেগেছে কয়েক ঘন্টা।
একই অবস্থা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত। কখনও দীর্ঘ যানজট, কখনও থেকে থেমে চলেছে যানবাহন। কেউ বাসে, কেউ ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেলে যে যেভাবে পারে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে যানবাহনের গতি বেড়েছে।
চন্দ্রা গিয়ে দেখা যায়, কালিয়াকৈর থেকে টাঙ্গাইল যেতে জনপ্রতি খরচ হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু পার হলেই যেকোনো পরিবহনে গুনতে হচ্ছে জনপ্রতি সর্বনিন্ম হাজার টাকা। একই চিত্র ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া ও চৌরাস্তা এলাকায়ও।
মারুফ নামে এক যাত্রী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘গতকাল ছুটি হলেও যানজটের কারণে বের হইনি। আজ সকালে বের হয়েছি তবে গতকালের মত যানজট এতো নেই। থেমে থেকে চলছে গাড়ি।’
সালনা হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল অধিকাংশ কারখানা একসঙ্গে ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে কিছু জায়গায় থেমে থেমে গাড়ি চলছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ কাজ করছে।