মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:২৫ পিএম
পদ্মা সেতু হয়ে সহজে গন্তেব্যে পৌঁছেছেন হাজার হাজার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
গত বছর জুনে চালু হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতুটি চালুর পর থেকে দুই ঈদের আগে-পরে এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বেশি যানবাহন চলাচল করে। ফলে ঈদের সময় টোল আদায়ও অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হয়। এবারের ঈদের আগে পরেও তাই হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পদ্মা সেতুতে ১৯ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত-এ ৭ দিনে ২ লাখ ২০ হাজার ১৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময় যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ২০ কোটি ৮৪ লাখ ২০০ টাকা।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে ৩২ হাজার ২৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫০ টাকা। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্ত থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ১৯ হাজার ৪৩১টি যানবাহন।
আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, ঈদে দক্ষিণের জেলাগুলোর মানুষ পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। প্রথমদিকে মোটরসাইকেল বন্ধ থাকলেও ২০ এপ্রিল থেকে তা খুলে দেওয়ায় সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। তবে সুষ্ঠু টোল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারায় টোল প্লাজায় এবার কোনো যানজট দেখা যায়নি।
তিনি জানান, এ বছর ঈদের আগের দিন ৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর গত বছরের ঈদুল আজহার আগের দিন ৩১ হাজার ৭২৩টি যানবাহন পারাপারে রেকর্ড ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকার টোল আদায় হয়। আর সবচেয়ে বেশি ৫১ হাজার ৩১৬ যান পারাপার হয় পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার প্রথম দিন। সেদিন মোটরসাইকেলসহ টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।
ঈদ ও শবে কদর মিলিয়ে এবার সরকারি ছুটি ছিল ৫ দিন। বুধবার (১৯ এপ্রিল) ছিল শবে কদরের ছুটি। পরদিন বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর শুক্রবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়, যা শেষ হয় রবিবার।