বান্দরবানে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২১

বান্দরবানে তিন জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সদরের যৌথখামার-রেইচা ঢালুতে, কলাপাড়া রাজবিহার মোড় এবং দুপুরে রোয়াংছড়ি উপজেলা তারাছা ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

বান্দরবান ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা (টিআই) ফরহাদুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

আহতরা হলেন—জেলার হলুদিয়া এলাকার রোজিনা, কবির হোসেন, হেলাল উদ্দীন, ইসলামপুর এলাকার সাধন দাশ, রুমা উপজেলার সীতা কর্মকার, হ্লামং মারমা, নুকুল ত্রিপুরা, থুই এ নু মারমা, উশৈ সিং মারমা, লামা উপজেলার নুরুল আজিম, মিজানুর রহমান, দনামিয়া, আমির হোসেন, সদর উপজেলা এলাকার সেনোয়ারা বেগম, একই এলাকার মো. সেলিম, কক্সবাজারের মালুমঘাট এলাকার শাহানা সুলতানা, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার শামীম সিদ্দিক, সাতকানিয়া এলাকার মো. আমজাদ, মো. তারেক, মো. রায়হান, আমির রশিদ, মহিনুল ইসলাম।

স্থানীয়দের বরাতে ফরহাদুজ্জামান জানান, বান্দরবান থেকে কেরানিহাট যাওয়ার পথে একটি মাহেন্দ্র (চাঁদের গাড়ি) বেলা ১১টার দিকে সদরের যৌথখামার এলাকায় একটি ত্রি-হুইলারের পেছনে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে ত্রি-হুইলারটি উল্টে গিয়ে পাঁচজন আহত হন। একই সময় অপর একটি ত্রি-হুইলার কেরানিহাট যাওয়ার পথে রেইচা ঢালুতে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে চারজন আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে মো. আমজাদ নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

একই দিনে সুগন্ধা বাস বান্দরবান থেকে রুমা যাওয়ার পথে বেতছড়া পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেনে উল্টে গেলে অন্তত ১২ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুজিবুল হক জানান, আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত আমজাদসহ দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টিআই ফরহাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনা রোধে ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।