চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৪০ পিএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ২১:০৫ পিএম
চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে এ ফল নিশ্চিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, ’চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট।
’এ ছাড়া একতারা প্রতীকের প্রার্থী মীর মোহাম্মদ রমজান আলী পেয়েছেন ৪৮০ ভোট, আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা ৬৭৩ ভোট এবং চেয়ার প্রতীকে সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ১ হাজার ৮৬০ ভোট। ভোট পড়েছে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ১৯০টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি ভোটকক্ষে ভোটাররা ভোট দেন।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নির্বাচনে ১৯০টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দুজন করে পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনে ২৫ জন নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১৯টি মোবাইল টিম, র্যাবের ছয়টি টিম, ছয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, সাত প্লাটুন বিজিবির সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৭ জন করে এবং সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম-৮ আসনটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী পৌরসভা ও উপজেলার কধুরখীল, পশ্চিম ও পূর্ব গোমদণ্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, চরণদ্বীপ, আমুচিয়া ও আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে টানা তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাসদের (একাংশ) তৎকালীন সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল। তার মৃত্যুর পর ২০২০ সালে উপনির্বাচনে এ আসনের সংসদ সদস্য হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মোছলেম উদ্দিন আহমদও মারা যান। তার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।