বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫১ পিএম
বগুড়ায় চুরির কথা বলে দিতে চাওয়ায় ছোট ভাইকে হত্যা করে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে দেয় তার বড় ভাই ও তার সহযোগীরা। প্রবা ফটো
বগুড়ায় কিশোর মালেক হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের আপন বড় ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনই পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আদমদীঘি উপজেলার মুড়ইল তালুকদারপাড়া এলাকার মাহবুব আলম, দুপাচাঁচিয়ার চেঙ্গা গ্রামের মো. মোক্তার এবং নিহতের বড় ভাই মো. তারেক।
এদের মধ্যে মাহবুবের নামে চারটি এবং মোক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ধানক্ষেতে কিশোরের মরদেহ
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে চেঙ্গা সাকিন এলাকায় একটি ধানক্ষেত থেকে আব্দুল মালেকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আব্দুল মালেক চেঙ্গা ছাতিয়াগাড়ী এলাকার মৃত হাসত আলী ওরফে হাসোর ছেলে। সে দুপচাঁচিয়ার স্থানীয় একটি বাজারে মুরগির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ জানান, গ্রেপ্তার আসামি মাহবুব, মোক্তার ও তারেক চেঙ্গা ছাতিয়াগাড়ী ও আশেপাশের এলাকায় মাদক সেবনসহ চুরি ছিনতাই করে আসছিল। এ ঘটনা আব্দুল মালেক জেনে যায় এবং তার বড় ভাই তারেককে নিষেধ করে। কিন্তু তারেক তার দুই সঙ্গী মাহবুব ও মোক্তারের প্ররোচনায় মাদক সেবনসহ চুরি ছিনতাই চালিয়ে যায়। এসব দেখে মালেক পুলিশকে সব জানিয়ে দেবে বলে তারেককে জানায়।
মালেকের কথা শুনে তারেক মালেককে চড় থাপ্পড় ও মারপিট করে। এ ঘটনা তারেক তার দুই সঙ্গী মাহবুব ও মোক্তারকে খুলে বলে এবং তারা তিনজন মিলে মালেককে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে সুকৌশলে মালেককে ধানেক্ষেতের কাছে নিয়ে তিনজনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এসময় মালেকের কাছে থাকা একটি মোবাইল ও কিছু টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায় বলে জানান এসপি।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে আদালতে পাঠানো হবে।