গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩ ১৩:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৩ ১৪:০২ পিএম
প্রতীকী ছবি
পারিবারিক কলহ ও বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন কুদ্দুস নগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত নারীর নাম আসমা আক্তার। তিনি চট্টগ্রামের হালিশহর থানার খাজার দীঘিরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম নুরুল হক ওরফে নুরু। তিনি মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার বাসিন্দা।
কোনাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইকেল বণিক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, 'নূরুল হক তার স্ত্রী আসমা আক্তারকে নিয়ে কুদ্দুস নগর এলাকায় কামাল হোসেনের বাড়ির ৭ তলা ভবনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রীর বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে গত ১ মে সকালে কোনাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নূরুল হক। বুধবার রাতেও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে রাতের কোনো এক সময়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রুমের বাহিরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় নুরুল। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।'
ওই বাড়ির কেয়ারকেটার মো. জয়ান পুলিশকে জানান, নুরু সকালে তাকে ফোন করে বলে তার স্ত্রী ঘুমিয়ে থাকার কারণে সে ঘরের বাহিরে তালা দিয়ে চলে গেছে। তাদের কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে ঘরের তালাটা খুলে দিয়ে আসমাকে ডেকে দিতে বলেন। পরে তার কথায় ঘরের তালা খুলে ডাকাডাকি করে আসমার সাড়া না পেয়ে কক্ষে গিয়ে খাদের উপর তার মরদেহ দেখতে পান জয়ান।
পাশের কক্ষে তাদের ছেলে নাহিদ ঘুমিয়ে ছিল।
এসআই মাইকেল বণিক বলেন, 'তাদের ঘর থকে ৩ মে স্বাক্ষরিত একটি ডিভোর্সের কাগজ পাওয়া যায়। এ থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী আসমাকে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্সের কাগজ দেখতে পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'