ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩ ১৮:৩০ পিএম
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩ ২০:০৭ পিএম
মা দিবসে মায়েদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে মায়েদের পা-ধুয়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটৈা
জীবনের প্রথম স্পর্শ মা। তাই মা দিবসে মায়ের পা ধুয়ে সম্মান আর ভালোবাসা জানালেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৪ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার স্টার মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা মা দিবসে তাদের মায়েদের প্রতি এ সম্মান জানান।
শিক্ষার্থীরা তাদের মায়েদের পা ধুয়ে সম্মান জানাতে পেরে যেমন খুশি ঠিক তেমনিই সন্তাদের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে মায়েরাও আবেগাপ্লুত।
মায়ের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে স্কুলের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমা বলেন, ‘সুখ- দুঃখের অংশীদার মা। যখন কষ্ট পাই মা বলে চিৎকার করি। আবার যখন আনন্দে থাকি তখন মাকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করি। প্রতিটি পরিবারে মা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে নিজের হাতে মায়ের পা-ধুয়ে সম্মান জানাতে পেরে অনেক ভালো লাগা কাজ করেছে। মাকে বড্ড ভালোবাসি।’
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাকিব বলেন, ‘মাকে কতটা ভালোবাসি সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। মা আমার প্রথম শিক্ষক। যার হাত ধরে হাঁটতে শেখা, আর সবকিছু দেখা। জীবনে মায়ের অবদান অনেক। আজকে মায়ের পা-ধুয়ে সে ভালবাসা প্রকাশ করতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। এ ধরনের শিক্ষা আগামীতেও মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আরও বাড়াবে।’
নবম শ্রেণির মনি আক্তার বলেন, ‘মাকে ভালোবাসতে কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না, সবসময়ই ভালোবাসা যায়। আজকে সবাই মিলে মাকে কতটা ভালোবাসি মায়ের পা- ধুয়ে সেটা প্রকাশ করেছি। মা ছাড়া জীবনে সফলতা পেলেও সেক্ষেত্রে কোনো শান্তি লাগে না। সকল মায়েরা ভালবাসা আর সম্মানে বেঁচে থাকুক।’
সন্তানদের কাছ থেকে এমন ভালবাসা পেয়ে লুতফা নামে এক মা বলেন, ‘সন্তান যত দোষেই করুক না কেন মায়ের কাছে সে সব সময় সন্তানই। আজকে মা দিবসে আমাদের সন্তানরা যেভাবে আমাদের সম্মান জানাচ্ছে এটা আমাদের গর্বের। আমরা অনেক খুশি।’
মনোয়ারা নামে এক মা বলেন, ‘সন্তানদের এমন ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। এ যুগের ছেলেমেয়েরা মাকে ফেসবুকে ছবি দিয়ে মায়ের প্রতি সম্মান জানায়। এভাবে মায়ের পা-ধুয়ে ভালোবাসা প্রকাশ খুব কমই করে। আমার সন্তানদের এমন ভালোবাসা পেয়ে সত্যিই আমরা অনেক আনন্দিত। আজ আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। সকল সন্তানদের প্রতি দোয়া আর ভালবাসা রইল। এভাবেই ভালোবাসা টিকে থাকুক।’
স্কুল পরিচালক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরে আমরা মায়েদের নিয়ে মা মেলার আয়োজন করে থাকি। এবারও মায়েদের সম্মানার্থে সন্তানদের দিয়ে মায়েদেরে পা-ধুয়ে দেওয়ার একটা আয়োজন করেছি। মা-বাবার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ যেন আরও বাড়ে সেকারণেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’