রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ২১:২১ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ২১:৩৫ পিএম
ভিডিও প্রকাশের পর সেন্টুর দায়িত্ব নিলেন আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ রুবেল।প্রবা ফটো
‘অক্সিজেনের বোতল সঙ্গে নিয়েই রিকশা চালান রাজশাহীর সেন্টু’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর মাইনুরুজ্জামন সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহীর আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ রুবেল।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
শেখ রুবেল বলেন, ‘অসুস্থ সেন্টুর ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় দেখার পর তার পাশে দাঁড়ানো জন্য ছুটে যাই। তার সার্বিক অবস্থার খোঁজ খবর নেই। তার সারা জীবনের ভরণপোষণসহ বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে আত-তাইয়েবা ফাউন্ডেশন। এ সময় তার হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন তিনি।
সেন্টুকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও চিকিৎসা পরবর্তী কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মাইনুর জামান সেন্টু বলেন, ‘এতদিন আত্মীয়স্বজনরা যা করতে পারেনি, তা সাংবাদিকরা করেছে, আমার জীবন বদলে দিয়েছে তারা। আমি খুবই খুশি। সাংবাদিকদের প্রচারের ফলে আমার বিপদে সমাজের বড় মনের মানুষগুলো পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
রিকশা চালক সেন্টুকে নিয়ে ভিডিও চিত্র প্রচার করে প্রতিদিনের বাংলাদেশ।
অসুস্থ সেন্টুর রিকশা চালানোর ছবিটি তোলেন ফটো সাংবাদিক মো. তুহিন। তিনি বলেন, ‘কোনো উদ্দেশ্য থেকে নয় এত কষ্ট দেখে মায়া থেকেই ছবিটি তুলেছিলাম। এ ছবি থেকেই সেন্টুর যে জীবন বদলে যাবে তা আমি ভাবেননি।’
এর আগে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ তার চিকিৎসার ভার নেন। এ ছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সেন্টুর খোঁজ খবর নিয়েছেন। সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী তাকে অর্থিকভাবে সহায়তা করা ছাড়াও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কেনার জন্য কথা বলেছেন। এ ছাড়া নাম প্রকাশ না করে অনেকেই সহায়তা করেছেন সেন্টুকে।
সেন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত দেড় মাসে তিনি তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন।