তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে করতোয়া নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত শ্রমিক পলাশ হোসেন মারা গেছেন। রবিবার (২১ মে) রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহতের চাচা ও সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পলাশ হোসেন উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

এদিন দুপুরে ভজনপুর ইউনিয়নের বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩৯ এর ১ আর ও ২ আর এর মাঝামাঝি বগুলাহাটি এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নদী থেকে নুড়ি পাথর তোলার সময় বিএসএফের গুলিতে আহত হন পলাশ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পাথর শ্রমিকের পেটের বাঁ পাশে একটি ক্ষত পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তার পেটে গুলি লেগেছে। ভুড়ির কিছু অংশ সেই ক্ষত দিয়ে বের হয়ে এসেছে।’

তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ চৌধুরী পাথর শ্রমিক পলাশের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ রংপুরেই ময়নাতদন্ত করা হবে জেনেছি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, সীমান্তে আমরা সর্বদা সতর্ক অবস্থানে থাকি। অনবরত আমাদের টহল থাকে। তবে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে। যার এক অংশ বাংলাদেশে অপর অংশ ভারতে। তবে ঘটনার পরপরই আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।