প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৩ ২০:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৩ মে ২০২৩ ২২:৫৯ পিএম
মঙ্গলবার দেশের ৮ জেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংগৃহীত ফটো
দেশের আট জেলায় বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী প্রতিবেদক জানান, জেলার রায়পুরা ও মনোহরদী উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নিহতরা হলেন, রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার, নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া, মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া ও শিবপুরের দক্ষিণ সাধারচর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া।
পাবনা প্রতিবেদক জানান, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শ্রমিকরা হলেন, জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের বাসিন্দা শাকিল হোসেন ও রমিজ উদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবেদক জানান, বাঞ্ছারামপুর ও নাসিরনগর উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের মায়ারামপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মেনু মিয়া এবং নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক।
চাঁদপুর প্রতিবেদক জানান, সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. হাসান মিজি নামের একজন মারা গেছেন। হাসান মিজি পশ্চিম ছোট সুন্দর গফুর মিজি বাড়ির মো. কলিমউদ্দিন মিজির ছেলে। রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল মামুন পাটওয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধর্মপাশা প্রতিবেদক জানান, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বজ্রপাতে ওমর ফারুক নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ওমর ফারুক উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদেহরিপুর গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে। সে জয়শ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শরীয়তপুর প্রতিবেদক জানান, গোসাইরহাট উপজেলায় বজ্রপাতে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন মান্দ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের রশিদ সরদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আসলাম সিকদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক জানায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চিলমারীর রাণীগঞ্জ ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া জানান, তার ওয়ার্ডের চরউদনায় ধান কাটতে গিয়ে চার কৃষক বজ্রপাতে আহত হয়েছেন। এ সময় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওগরু নামে এক কৃষক মারা যান। পরে অন্যদের উলিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে।
অপরদিকে, বাদাম ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে উলিপুরের থেতরাই ইউনিয়নের চর গোড়াইপিয়ারে শাহাজালাল নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি দলদলিয়া ইউনিয়নের গণক পাড়ার রহিজ উদ্দিনের ছেলে।
কুমিল্লা প্রতিবেদক জানান, মঙ্গলবার কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছেন। কুমিল্লার দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলায় ওই দুজনের মৃত্য হয়। তাদের মধ্যে একজন জমিতে কাজ করতে গিয়ে ও অন্যজন ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, দেবিদ্বার উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ইদন মিয়ার ছেলে ৩০ বছরের সাইফুল ইসলাম ও চান্দিনা উপজেলার বুড়িমারা গ্রামের মাস্টার আব্দুর রাজ্জাকের হিফজ পড়ুয়া ছেলে ১৩ বছরের রিফাত হোসাইন।
দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার জানান, বিকালে বাড়ির অদূরে সাইফুল তার জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে পরিবারের লোকজন তার মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায়।
দুপুর আড়াইটার দিকে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় কিশোর রিফাত। চান্দিনা উপজেলার ইউএনও তাপস শীল বলেন, রিফাত বাড়ির পাশে ঘুড়ি উড়াতে যায়। তখন বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ওই সময় বজ্রপাতে মারা যায় সে। সরকারি সহয়তা হিসেবে তার স্বজনদের হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।