কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ১৩:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ১৬:৪৮ পিএম
কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবা ফটো
কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ঢাকা জেলা বিএনপির জনসমাবেশ কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ মে) বেলা ১১টার দিকে জিনজিরা বাসস্ট্যান্ড রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিপুণ রায় চৌধুরীকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় ইটের আঘাতে নিপুণ রায় চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো হামলা করেনি বলে দাবি করেন দলটির এক নেতা।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম. ই. মামুন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, 'নিপুণ রায়ের নেতৃত্বে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। আজকে ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। কেরানীগঞ্জে সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির আরও নেতাকর্মীরা ছিলেন। সভা শেষ করে যাওয়ার সময় পথে আমাদের পার্টি অফিসে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। একপর্যায়ে আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে আমাদের লোকদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে আমার কাছে। সেখানে দেখা যায় নিপুণ রায় ইটপাটকেল ছুড়ে শাড়ি উঁচিয়ে দৌড়াচ্ছেন।'
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপির কিছু অতি উৎসাহী কর্মী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করেন। তার আগে সংঘর্ষে ও ইটের আঘাতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহবুদ্দিন কবীর বলেন, 'তেমন কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলাম।'
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীন আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলা বিএনপি গণসমাবেশ করছে।