মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ১৮:১১ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
বোট বিতরণের আগে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ হাওরাঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত ৭৮ জেলে পরিবারের মধ্যে ২৬টি ফাইবার গ্লাস বোট বিতরণ করেছে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে উপজেলার সুতারপাড় ইউনিয়নের বালিখোলা ঘাটে এসব বোট বিতরণ করা হয়।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট এরিয়া ম্যানেজার আব্দুর রউফ জানান, করিমগঞ্জ উপজেলার ৭৮ পরিবারের মধ্যে ২৬টি বোট বিতরণ করা হয়। প্রতিটি বোটের বাজার মূল্য ৩ লাখ টাকা। এর আগে জেলার ১৯৮ পরিবারের মাঝে ৬৬টি বোট বিতরণ করা হয়। নিকলি উপজেলায় ৪৩টি, বাজিতপুর ২৩টি বোট বিতরণ করা হয়।
তিন বছর আগে জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে উপজেলার ৩০০ পরিবারের মধ্যে ১০০টি কাঠের বোট বিতরণ করে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট।
বোট বিতরণ অনুষ্ঠানের আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, সংগঠনের ট্রেজারার ও সাবেক সচিব আরাস্তা খান, করিমগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, করিমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা বেগম সাথী, বারঘড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, সরতারপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঞা প্রমুখ।
মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া বলেন, ‘আমাদের সংগঠন যাকাতের টাকা এনে গরীব মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। তারা যাতে এ বোট দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে ব্যবস্থাই আমরা করেছি। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হাওরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জেলেদের মাঝে আমরা আরও বোট বিতরণ করব।’
চংনওগাঁ গ্রামের জেলে আল ইসলাম। ২৫ বছর ধরে নদীতে মাছ ধরেন তিনি। আল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মাছ ধরে খেতে হয়। এই উন্নতমানের বোট পেয়ে আমাদের অনেক সুবিধা হলো। মাছ ধরে পরিবার নিয়ে চলতে পারব। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’
চংনওগাঁ গ্রামের লাল চান নামের এক জেলে বলেন, ‘৩০ বছর ধরে মাছ ধরে খুব কষ্ট করে পরিবার নিয়ে চলি। আগে কাঠের বোট দিয়ে মাছ ধরতাম। নৌকা নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। ফাইবার গ্লাস বোট পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। মাছ ধরেতেও সুবিধা হবে।’
শাগলি গ্রামের ৪৮ বছর বয়সী জেলে আবু সাঈদ বলেন, ‘মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। নৌকার অভাবে মাছ ধরতে কষ্ট হয়। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট বোট নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারের বর্ষায় আমরা আরামে মাছ ধরতে পারব। আমাদের যদি বোটের সঙ্গে জাল দিতো তাইলে আরও ভালো হতো।’