× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাত মরা খালে ফিরেছে প্রাণ

বাগেরহাট প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩ ০৯:৩৫ এএম

আপডেট : ২৭ মে ২০২৩ ১৩:৫৯ পিএম

খননের পর নতুন করে প্রাণ ফিরে পাওয়া ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়নের কুমারখালী খাল।

খননের পর নতুন করে প্রাণ ফিরে পাওয়া ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়নের কুমারখালী খাল।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের মরা পশুরসহ সাত খাল খননের ফলে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালে পানি আসায় খালসংলগ্ন ৯ গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দার মাঝে আনন্দ ফিরে এসেছে। বহুদিন ধরে ভরাট হয়ে নাব্য হারিয়ে মৃতপ্রায় ছিল এসব খাল। পানি না থাকায় শুকনো মৌসুমে ফসল আবাদ করলেও সেচের অভাবে নষ্ট হয়ে যেত। ছিল দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারে পানির সংকটও। আবার বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের অভাবে দেখা দিত জলাবদ্ধতা। এখন এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কুমারখালী গ্রামের বাসিন্দা সাদেক মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘদিন এলাকার খালগুলো মৃতপ্রায় ছিল। শুকনো মৌসুমে যেমন পানি পেতাম না, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার শিকার হতাম। খননের ফলে খালগুলোয় যেমন পানির প্রবাহ স্বাভাবিক হয়েছে, তেমনি আমাদেরও অনেক উপকার হয়েছে।’

বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালগুলো খননের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় মরা পশুর, কুমারখালী, ফ্যাইস্যাখালী, দাত্নেমারী, বাসাবাড়ি, গজার ও চাকুলির খাল নামে সাতটি খালের প্রায় ২০ কিলোমিটার খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কুমারখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাধ্যমে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খালগুলোর খনন শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। 

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মরা খালে পানিপ্রবাহ শুরু হয়েছে। খালসংলগ্ন ৯টি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা ইতোমধ্যে সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছেন। দৈনন্দিন কাজে পানির ব্যবহারও শুরু করেছেন তারা। এ ছাড়া খালের আশপাশের প্রকৃতিতেও প্রাণ ফিরে এসেছে। খনন শেষ হলে এলাকার অন্তত এক হাজার হেক্টর জমিতে সহজে সেচ সুবিধা পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

কথা হয় আব্দুস সালাম নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একটি সময় ছিল আমরা মরা পশুরে গোসল করতাম, মাছ ধরতাম। কিন্তু ১০-১২ বছর ধরে বেশির ভাগ সময় পানি থাকে না। খননের পর নতুন পানি এসেছে। অনেক ভালো লাগছে এই ভেবে যে, এখন আবার গোসল করতে পারব, মাছ ধরতে পারব। তবে খালগুলো যাতে দখল ও ভরাট হয়ে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখাতে হবে।’

কুমারখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পদক নাজমুল হুদা বলেন, ‘সমিতির তত্ত্বাবধানেই সদস্যরা মিলে খালগুলো খনন করছেন। কোথাও হাতে মাটি কাটা হয়েছে আবার কোথাও এক্সকাভেটর ব্যবহার করা হয়েছে। এলজিইডির কর্মকর্তাদের নির্দেশনামতো খনন করা হয়েছে। এলাকার মানুষ খুব খুশি হয়েছেন।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা কমিটির সদস্য এমএ সবুর রানা বলেন, ‘শুধু একটি ইউনিয়নের খাল খনন করে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না। জেলার সব নদী-খাল দখলমুক্ত করে খননের মাধ্যমে নাব্য ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে সুদিন ফিরবে চাষাবাদে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন বাড়বে।’

এলজিইডি বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি ও সেচ সুবিধার জন্য সব ধরনের নিয়ম মেনে খাল খনন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতটি খালের ২০ কিলোমিটারের ৭৫ শতাংশ কাজ শেষে হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা