স্বামী হত্যার সাজা এড়াতে ১২ বছর পালিয়ে ছিলেন দেলু বেগম

লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গৃহবধূ দেলু বেগমকে ১২ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার রাতে ফেনীর বিজয় সিংহ সার্কিট হাউসসংলগ্ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৭ মে) সকালে ফেনী র‍্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গ্রেপ্তার দেলু বেগম ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ চণ্ডীপুরের মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে।

ফেনী র‍্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক জানান, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে পারিবারিক কলহের জেরে মহরম আলী মোহনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন দেলু বেগম। ওই রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। রাত ১টার দিকে মোহনের মা মোবাইল ফোনে ছেলের মৃত্যুর খবর পান। পরদিন তিনি ছেলে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ দেলু বেগমকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় দেলু বেগমকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জামিনে গিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেলু বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় দেলু বেগমের অনুপস্থিতিতে স্বামী হত্যার অপরাধে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি দেলু বেগমকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেলু বেগমকে ফেনী শহরের বিজয় সিংহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে দেলু বেগম জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে প্রায় ১২ বছর নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিলেন। কিছুদিন ধরে ফেনীতে একটি বাসায় ভাড়ায় বসবাস শুরু করেন। 

আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেলু বেগমকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সাদেকুল ইসলাম।