কিশোরগঞ্জের পুরাতন কাচারি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সড়কটি বেহাল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেনশিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। প্রবা ফটো
ষাটের দশকে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পুরান কাচারি থেকে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫০ বছরেও রাস্তাটি সংস্কার না করায় অধিকাংশ স্থান ভেঙে যাওয়ায় কাদাপানি জমে ও ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে কেউ না কেউ প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটি কষ্ট আর বেদনার উদাহরণ হয়ে আছে অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক ও পথচারীর কাছে। রাস্তার এ অল্প পথ দিয়েই প্রতিদিন কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ অভিভাবককে যেতে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শহরের পুরাতন দেওয়ানি আদালত থেকে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে মাত্র ৪০০ ফুট সড়ক। ষাটের দশকের শেষ দিকে ৪০০ ফুট সড়কটি পাকা করা হয়। এরপর গত ৫০ বছরেও উন্নয়ন বা সংস্কার করা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি হয়ে ওঠে কাদাময় পিচ্ছিল। শুষ্ক মৌসুমে পরিণত হয় ধুলাবালুর স্তরে।
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, গত কয়েক বছরে এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসার পথে অসংখ্য ছাত্র পা পিছলে পড়েছে। তাদের অনেককেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
পুরাতন কোর্ট সড়কের বাসিন্দা মারুফ আহমেদ বলেন, সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় শহরের উত্তর পাশের শিক্ষার্থীদের ও এলাকাবাসীকে সারা বছর রাস্তাটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ রাস্তায় কয়েক দিন আগে পিছলে গিয়ে এক পথচারীর পা ভেঙে যায়। এ ছাড়া কাচারিবাজারে জিনিসপত্র কিনতে আসা একাধিক বয়স্ক লোক পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হন।
বিদ্যালয়ের ছাত্র রাহাত ইসলাম, সাজিদ আহম্মেদ, সজীবুল ইসলামসহ অসংখ্য লোক জানায়, বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে কোনো না কোনো শিক্ষার্থী এ সড়কে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরও রাস্তার কোনো ধরনের উন্নয়ন হয়নি।
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল্লাহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে বলেছি। জেলার সবাই রাস্তাটির বিষয়ে জানেন। পৌরসভা বলেছে কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে করে দেবে। কিন্তু কয়েক বছরেও হলো না! ছাত্রদের কষ্ট দেখতে ভালো লাগে না। রাস্তাটি মেরামত করা হলে ছাত্রসহ সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারত।
পৌর কাউন্সিলর আবদুল গণি বলেন, নতুন পৌর বাজেটে রাস্তাটি অন্তর্ভুক্ত করে সংস্কার ও মেরামত করা হবে। আশা করছি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও জনস্বার্থে নতুন অর্থবছরে রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন হবে।
পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.