শফিউল আজম টুটুল, ঝালকাঠি
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩ ১৭:৫৪ পিএম
আপডেট : ২৯ মে ২০২৩ ২১:০৯ পিএম
বাংলা শিসগানে ইন্টারন্যাশনাল বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন কুমার কাকন উজ্জ্বল। প্রবা ফটো
বাংলা শিসগানে ইন্টারন্যাশনাল বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন ঝালকাঠির ছেলে কুমার কাকন উজ্জ্বল। ২৪ বছর বয়সি এই তরুণ পুরো বিশ্বের মধ্যে হুইসেল ক্যাটাগরিতে প্রথমবারের মতো ‘লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল’ টাইটেলে এই রেকর্ড গড়েন। ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল-এর বিশ্ব রেকর্ডটি গড়েছেন কুমার কাকন উজ্জ্বল। তিনি ৫৭ সেকেন্ড ৫৪ সেন্টিসেকেন্ড ধরে বিভিন্ন সুর বাজান এবং আন্তর্জাতিক বুক অব রেকর্ডসের জন্য একটি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডস নামে এই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন খাতে সেরাদের কীর্তি তুলে ধরা হয় এবং সনদ দেওয়া হয়, যাতে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতো।
কাকনের জন্মস্থান ঝালকাঠি পৌর এলাকার সিটিপার্ক সড়কে। বাবা উত্তম কুমার রায় ঝালকাঠি পৌরসভায় চাকরি করেন। মা শিউলি রানি রায় পেশায় আইনজীবী। ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য তিনি। উত্তম কুমার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, দুই ভাই-বোনের মধ্যে কাকন বড়। ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি ও বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাস করেন কাকন। ২০২২ সালে ভারত সরকারের ফুল ফ্রি (স্টাডি ইন ইন্ডিয়া) স্কলারশিপ নিয়ে বেঙ্গালুরুর জেইন ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিকস অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক পাস করেন।
ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ড অর্জন সম্পর্কে কাকন বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরু থেকে আবেদন করেন তিনি। ওই বছর ১৪ ডিসেম্বর ভিডিও পাঠানোর পর চলতি বছর ৬ জানুয়ারি তা গৃহীত হয় এবং গত মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বরেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি পান। বর্তমানে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থান করছেন কাকন। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন বলে জানান।
কাকন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিসগান নিয়ে আমার পথচলা শুরু ২০১৮ সালে। তখন দেখেছি মানুষ এটাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং পছন্দ করেছে। তখনোই এটা নিয়ে আমার স্বপ্ন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। সেই থেকে ইচ্ছে ছিল হুইসেলের মাধ্যমে বাংলা গানকে পুরো বিশ্বের কাছে কীভাবে তুলে ধরা যায়। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাই শিসগান অথবা হুইসেল আমার আয়ত্ত করতে খুব একটা কষ্ট হয়নি। আমি গর্বিত যে বাংলা গানকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পেরেছি এবং সেই বাংলা গানে হুইসেল বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড করতে পেরেছি।’
কাকনের বাবা উত্তম কুমার রায় গর্ব করে বলেন, ‘আমার ছেলে পড়ালেখার পাশাপাশি শিস বাজিয়ে গান তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় আমি গর্বিত। আমরা পরিবারের সবাই এবং স্বজনরা খুশি ও আনন্দিত।’