সাভার (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৫:২৮ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১৭:১৩ পিএম
সাভারের খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রবা ফটো
জ্বালানি সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী ৫ জুনের পর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, জ্বালানি হিসেবে কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০-২৫ দিন সময় লাগবে। এ সময়ে লোডশেডিং কিছুটা বাড়বে।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সাভারের খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি অংশ বন্ধ আছে এবং আমাদের সেকেন্ড অংশও আগামী ৫ জুনের পর বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ এখানে কয়লার অভাব দেখা গেছে এবং এটা আসতে ২০-২৫ দিন লেগে যাবে। আমাদের এখানে এলসি খুলতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি অন্য বিষয়গুলোও ছিল। এখানে একটা বড় বিদ্যুৎ আমরা পাচ্ছি না। এ কারণে আমি মনে করি, কিছুটা জনদুর্ভোগ হচ্ছে। লোডশেডিং বেড়ে গেছে কয়েকটা বিদ্যুৎকেন্দ্র কাজ না করায়। তেল আনার জন্য রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। এখন বেশিরভাগ গ্যাস আমরা ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইভার্ট করছি।‘
জ্বালানিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আবার আবহাওয়া অনেক গরম। ৩৮ ডিগ্রির ওপরে চলে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় ৪০-৪১ ডিগ্রি হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা খুবই দুঃখিত এ বিষয়ে। আমাদের এই মুহূর্তে কিছুটা লোডশেডিং চলছে এবং এটা কিছুদিন যাবে। জাতীয় গ্রিডে প্রায় দেড় হাজারের ওপরে ১৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্র্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. এম সামসুল আলম।
২০২০ সালে চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। তিন বছর আগে উৎপাদনে আসার পর এবারই প্রথম
পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে পায়রা বিদুৎকেন্দ্রে।