নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৬:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১৭:২২ পিএম
নিহত বৃদ্ধের মরদেহ ঘিরে স্বজনদের আহাজারি।
নোয়াখালীতে উঠানের গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক পরিবারের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩ জুন) সকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার রথী গ্রামের ভূইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধের নাম এনামুল হক।
নিহতের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী সোলাইমান ভূইয়ার সঙ্গে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সকালে উঠানে থাকা ডেউয়া গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে সোলাইমান ভূইয়ার সঙ্গে এনামুল হকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোলাইমান ও তার ছেলে মাসুদসহ চারজন এনামুলকে মারধর করেন। এ সময় লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শী নিহতের ভাগনি বলেন, ‘আমি তখন বাসার সামনের বাগানের ভেতর মোবাইলে কথা বলছিলাম। একটু পরে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলে তাকিয়ে দেখি সোলাইমান ভূইয়া, তার ছেলে মাসুদ, জেসমিন ও সুমি মিলে আমার মামাকে মারধর করছে। আমি ওদের হাত থেকে মামাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছিলাম। ওরা চারজন যে যেমনভাবে পারে মামাকে মারছিল। এ সময় সোলাইমান তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার মামাকে মারতে থাকে। পরে তার হাত থেকে লাঠি নিয়ে মাসুদ আমার মামাকে মারা শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির সবাই এসে মামাকে উদ্ধারের চেষ্ট করে। এসময় মামা ওখানে পড়ে মারা যান।’
চাষীরহাট ইউনিয়নের নারী সদস্য জানান, অনেক আগে থেকেই এই দুই পরিবারের মাঝে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শালিস-মীমাংসা করেও সমাধান করা যায়নি। বিবাদমান জমির ডেউয়া গাছের ফল পাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারির সূচনা হয়। পরে মারামারিতে বয়স্ক এনামুল হক নিহত হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবারে সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় চাটখিল-সোনাইমুড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, মূল আসামিরা ঘটনার পরেই পলাতক রয়েছে। তবে পুলিশ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।