সিলেট অফিস
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ২১:১৪ পিএম
শনিবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট বিভাগীয় তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে রানা দাশ গুপ্ত। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুরূপ পৃথক পৃথক হিন্দু ফাউন্ডেশন, বৌদ্ধ ফাউন্ডেশন ও খ্রিস্টান ফাউন্ডেশন গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করতে হবে। সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
শনিবার (৩ জুন) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট বিভাগীয় তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে রানা দাশ গুপ্ত এসব দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভোটদানে নিরুৎসাহিতসহ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয়, নির্বাচনের পর তা বাস্তবায়নের জন্য কোনো আন্দোলন করতে হয় না। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি উদাসীন থেকে তাচ্ছিল্যের মনোভাব প্রদর্শন করছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের প্রাক্কালে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরে না।’
রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল সংখ্যাঘলুদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেসব বিষয় তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকাশ করেছিল, আজ পর্যন্ত তার একটিও পূরণ করেনি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সিলেট মহানগর সভাপতি ও বিভাগীয় সমন্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব প্রদীপ কুমার দেব ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পালের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জয়ন্ত সেন দীপু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দেব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক অভিজিত ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।