শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩ ১৬:২৭ পিএম
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৩ ১৭:২৮ পিএম
গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকেই ফুটপাথ থেকে শরবত বা ঠান্ডা পানি পান করছেন। দূষিত পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। ছবি : ফোকাস বাংলা
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। যারা জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন, তারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। একটু প্রশান্তির আশায় শ্রমজীবীদের আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে বৃক্ষ তলে। সুযোগ পেলেই কেউ কেউ নেমে পড়ছেন জলাধারে। কিন্তু তাতেও যেন নাভিশ্বাস কমছে না। মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
কয়েক দিন ধরে দুর্বিষহ এ পরিস্থিতি চলছে মোটামুটি সারা দেশেই। বৃষ্টির আশায় কোথাও কোথাও চলছে প্রার্থনা। প্রাচীন রীতি মেনে ঘটা করে দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙের বিয়ে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বর্ষণের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রির ঘরে।
সোমবার (৫ জুন) দুপুরে শেরপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পুরো জুন মাসজুড়েই থাকবে গরমের তীব্রতা। এ অবস্থায় বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগীর সংখ্যা।
শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের রিকশাচালক রিপন মিয়া বলেন, ’অতিরিক্ত গরমে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। যাত্রীদের নিয়ে এক ট্রিপের বেশি কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না। শরীর থেকে ঘাম বেয়ে বেয়ে পড়ছে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। পেটের দায়ে এই গরমে রিকশা চালাচ্ছি। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।’
জমশেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্রী মাইমুনা আক্তার তৃষা বলেন, ‘সকাল ১০টায় আমাদের ক্লাস শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকেই তীব্র রোদ। প্রচণ্ড গরমে ঠিকভাবে ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘন ঘন লোডশেডিং কষ্ট আরও বাড়িয়েছে।’
শেরপুর আমজাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক মোহাম্মদ নাদিম হাসান বলেন, ‘অনেকে গরম সহ্য করতে না পেরে রাস্তার পাশে বিক্রি করা পানি ও শরবত পান করে থাকে, এটা আসলে উচিত না। এতে রোগবালাই আরও বাড়ে।’
তিনি বলেন, ‘গরমের কারণে জ্বর, ডায়রিয়া বা অন্য কোনো রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শুধু মানুষ নয়, এই গরমে পশুপাখিও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। যারা গবাদিপশু পালন করেন তারা যেন ঠান্ডা পরিবেশে এসব প্রাণী রাখার চেষ্টা করেন।’