শেরপুর ও ফরিদপুরে দুই যুবককে নির্যাতন

শেরপুরে সুদের ৬ হাজার টাকা পরিশোধের পর অতিরিক্ত লাভ না দেওয়ায় সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে সোমবার (৫ জুন) ভোর পর্যন্ত নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। অপর ঘটনা ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়। ভ্যানে করে পেঁয়াজ নিয়ে হাটে বিক্রি করতে যাওয়ার পথে গোলাম আলী নামে এক যুবককে আটকে হাতুড়িপেটা করে তার ২০ মণ পেঁয়াজ নিয়ে গেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। 

শেরপুরে নির্যাতনে আহত যুবক সদর উপজেলার চক আন্ধারিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে। পেশায় সে একজন পরিবহন শ্রমিক। ঘটনার পর তার নির্যাতনের একটি ভিডিও গতকাল সকালে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত সাইফুল জানান, তিনি ঢাকায় কমলাপুরের ৬ নম্বর বাসের চালকের সহকারী। বিপদে পরে স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল মালেকের কাছ থেকে চার মাস আগে সুদে ৬ হাজার টাকা ধার করেন। প্রতি মাসে সুদের লাভ পরিশোধ করার পর রবিবার সন্ধ্যায় তার আসল টাকা ফেরত দেন। কিন্তু মালেক তার কাছে লাভের অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্থানীয় মনির ও জুয়েলের সহায়তায় রাতে তাকে তুলে নিয়ে মালেকের বাড়ির একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের সবাই পলাতক থাকায় তাদের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকালে বাড়ি থেকে দুটি ভ্যানে করে ১৫-২০ মণ পেঁয়াজ নিয়ে বালিয়াগট্টি বাজারে যাচ্ছিলেন গোলাম আলী। পথে ভাবুকদিয়া এলাকায় তার ওপর হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এ সময় গোলাম আলীর দুটি ভ্যানের সব পেঁয়াজ নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। 

সালথা থানার ওসি শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।