নাটোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩ ১৭:২৪ পিএম
নাটোরে নিষ্ক্রিয় করার পর বোমার আলামত সংগ্রহ করছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি কলেজের অধ্যক্ষের নামে রেখে যাওয়া আমের বস্তায় রাখা বোমা নিস্ক্রিয় করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
শনিবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বোমাটি নিস্ক্রিয় করে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বোমা নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার সকালে থেকেই কলেজের অধ্যক্ষের নামে রেখে যাওয়া বস্তায় আম নাকি বোমা; এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ ও আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ‘এটা অনেক বড় ধরনের একটা বোমা ছিল। দূর নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাহায্যে আমরা বোমাটি নিস্ক্রিয় করেছি। ককটেল জাতীয় তিনটা কন্টিনার ছিল, পেট্রোল বোমার তিনটা বোতল ছিল, প্লাস্টিকের বোয়ামে ক্যামিক্যাল জাতীয় জিনিস ছিল তিনটা।’
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম যে ভেতরে কি আছে। পরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে ডাকা হয়। উনারা এসে সহায়তা করেছেন।’
বোমাটি ধ্বংস করার পরে যে আলামতগুলো আছে সেগুলো ল্যাব টেস্ট করার পরে জানা যাবে কি ধরনের এক্সপ্লোসিভ ব্যবহার করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলামের কার্যালয়ের সামনে কে বা কারা একটি প্লাস্টিকের বস্তা রেখে যায়। বস্তাটিতে আম্রপালি আম ৩০ কেজি উল্লেখ করে অধ্যক্ষের ঠিকানা ও ফোন নম্বর লেখা ছিল।
শনিবার সকালে বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। কিন্তু তাতে প্রেরকের নাম ঠিকানা না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশ ও র্যাব জানান।
বস্তায় লেখা নম্বরে কল দিলে তা রিসিভ করেন কলেজটির অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাইদ।
তিনি জানান, স্থানীয় একটি চক্র তিন-চার দিন আগে থেকে কলেজ উড়ায় দিবে বলে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। তাই তারা বিস্ফোরক রেখে গেছে মনে হয়। কারা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কল কেটে দেন।
ওসি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এর সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সিংড়া-গুরুদাসপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টাকে আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াসলি নিয়েছি। সকাল থেকেই আমাদের টিম ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল। পারিপাশ্বিক এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন ছিল। আমরা তদন্ত করে বলতে পারব বিষয়টি কোন দিকে যাচ্ছে।’