সিটি নির্বাচন
সিলেট অফিস
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩ ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৩ ১২:৩৩ পিএম
সিলেট নগরীজুড়ে আলোচনায় রয়েছেন ছয় অপরাজেয় কাউন্সিলর। ২০০৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রথম নির্বাচন থেকে প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের মুখ দেখেছেন তারা। সর্বশেষ গত বুধবারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে টানা পাঁচ মেয়াদে জয়লাভ করে এমনই এক বিরল কীর্তির অধিকারী হয়েছেন নগরীর এই ছয় কাউন্সিলর।
সিসিকের টানা পাঁচবারের মতো নির্বাচিত কাউন্সিলর হয়ে রেকর্ড গড়েছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মখলিছুর রহমান কামরান, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী মো. সিকন্দর আলী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শান্তনু দত্ত শন্তু, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ এবং সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী শাহানারা বেগম।
এর মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত শন্তু এর আগে সিলেট পৌরসভা থাকাকালীন একবার পৌর কমিশনার (কাউন্সিলর পদকে কমিশনার বলা হতো) ছিলেন। ১৯৯৫ সালে পৌরসভা থাকাকালীন সময়ে প্রথম কমিশনার নির্বাচনে প্রার্থী হন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শান্তনু দত্ত শন্তু। এরপর পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে তিনি ২০০৩, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৩ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
গত দুই নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপর ছিলেন আজাদুর রহমান। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দুবারই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মেয়র পদে না দাঁড়িয়ে কাউন্সিলর পদ থেকেই নির্বাচন করেন। নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরপর পাঁচবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের রেকর্ড তার দখলে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আজাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর হন। এবার আজাদুর রহমান লাটিম প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরানও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তিনিও টানা জয়লাভ করেছেন। এবার ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মখলিছুর রহমান কামরান ৪ হাজার ৯৫০ ভোট পেয়ে ফের নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া মো. সিকন্দর আলী এবারও সিসিকের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিও সিসিকের প্রথম নির্বাচন থেকে টানা জয় নিয়ে ওয়ার্ডবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি লাটিম প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে টানা পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন।
সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবারও বিজয়ী হয়ে টানা পাঁচবারের রেকর্ড গড়েছেন শাহানারা বেগম। তিনি বই প্রতীকে ৯ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়েছেন।
হতে চেয়েছিলেন মেয়র, হারলেন কাউন্সিলর পদে
সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছালেহ আহমদ সেলিম। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হন তিনি। তবে ভোটে হারতে হয় তাকে। সিলেট ল কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সেলিম ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গত নির্বাচনে কাউন্সিলর হন।