বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩ ১৯:৪২ পিএম
৭৫০ টিইউজ কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে আট মিটার ড্রাফটের গিয়ারলেস জাহাজ এমভি ফিলোটিমো। প্রবা ফটো
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলায় প্রথমবারের মতো ‘৭৫০ টিইউজ কন্টেইনার’ নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে আট মিটার ড্রাফটের গিয়ারলেস জাহাজ। পানামার পতাকাবাহী ১৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের এমভি ফিলোটিমো বন্দরের ৭ নং জেটিতে ভিড়েছে। নিয়মিত পশুর চ্যানেল ও জেটি ফ্রন্টে ড্রেজিংয়ের ফলে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায়। বন্দর কর্তৃপক্ষের গণসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন, রবিবার বিকেলে ৭৫০ টিইউজ (২০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার এক টিউজ) নিয়ে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজটিচ বন্দর জেটিতে নোঙ্গর করেছে। এর আগে গেল বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ও ২৭ মার্চ ৮ মিটার ড্রাফটের দুটি জাহাজ এসেছিল। তাতে এত বেশি কন্টেইনার ছিল না। নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে এ সফলতা এসেছে। এখন থেকে আট মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে আর কোনো বাধা থাকবে না। ভবিষ্যতে আরও অধিক ড্রাফটের জাহাজ কীভাবে এখানে ভেড়ানো যায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বন্দরের অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বন্দরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, বন্দর জেটিতে নিয়মিত ৮ মিটার গভীরতার কন্টেইনার জাহাজ আগমন মোংলা বন্দরের জন্য একটি নবধারার সূচনা। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগিতার ফলে মোংলা বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। এরশাদ আলী জানান, বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েক গুণ। মোংলা বন্দর তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ চলমান রেখেছে। ফলে মোংলা বন্দরে এখন থেকে আরও অধিক গভীরতার জাহাজ অনায়াসে আগমন-নির্গমন করতে পারবে। এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকায় তৈরি গার্মেন্টস পণ্য এখন মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে। সেই সাথে অন্য ব্যবসায়ীদেরও মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। বন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।