সাইফুল হক মোল্লা দুলু, মধ্যাঞ্চল
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৩ ১০:২৩ এএম
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৩ ১০:৫৭ এএম
ভাটির শার্দুল সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৩২ বছর পর হাওরের নিজবাড়ি কামালপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করলেন গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে। শুক্রবারও (৩০ জুন) তিনি নিজবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত কামালপুর জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের কথা রয়েছে।
ঈদের দিন সকাল ৮টায় বাড়ির মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যান সাবেক রাষ্ট্রপতি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম নূরু, ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, তারেক কামাল, নাতি আবদুল্লাহ' হামিত জ্বিম প্রমুখ।
নামাজ শেষে তিনি মসজিদের ইমাম ও খতিবের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে উপস্থিত সবার খোঁজখবর নেন। মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ির বাংলাঘরে কিছুক্ষণ বসেন। কোরবানির পর দুপুরে গরুর মাংস ও অন্যান্য আইটেম দিয়ে দুপুরের খাবার সারেন। এ সময় তিনি অতীতের নানা বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
দুপুরের পর গ্রামের প্রবীণ লোকজন এসে তার সঙ্গে দেখা করেন। গত সোমবার সাবেক রাষ্ট্রপতি হাওরে আসার পর থেকে গোটা হাওরে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। এবারের ঈদে আবদুল হামিদকে পেয়ে মিঠামইন উপজেলাবাসীর ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা প্রায় অর্ধশত গরু কোরবানি দিয়েছেন। আবদুল হামিদ আরও কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।
মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবার পৈত্রিক ভিটায় ফিরে ঈদ করায় সারা গ্রামে আনন্দ বিরাজ করছে।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের মাটি ও মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়ভাজন। তৃণমূলের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ছয় দশকের রাজনীতি জীবনে তার অকৃত্রিম ভালোবাসায় সবাই সিক্ত। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়ার আগে জেলার পথে প্রান্তরে চষে বেড়িয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। তাই ঈদে তাকে কাছে পেয়ে সবাই খুশি।