সারা দেশে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৪ জনের

সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলায় দুইজন, নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় একজন ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

রবিবার (২ জুলাই) বিকালে এসব ঘটনা ঘটে। 

জামালপুর সদরের পৌর এলাকার বানিয়াবাজার ও হাটচন্দ্রায় পৃথক বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছেন। এর মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে আব্দুল খালেক নামে একজন, আর গরু চরাতে গিয়ে দুই গরুসহ মোয়াজ্জল নামে এক কৃষক মারা যান।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে বানিয়াবাজারের পাশের ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরতে যান আব্দুল খালেক, দেলোয়ার ও শাহজাহান। বিকালে বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে আহত হয়ে পানিতে পড়ে মারা যান আব্দুল খালেক। আহত হন দেলোয়ার ও শাহজাহান। এ ছাড়া পৌর এলাকার হাটচন্দ্রায় ঝিনাই নদীর চরে দুটি গরু চরাতে নিয়ে যান একই এলাকার কৃষক মোয়াজ্জল। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার গরু দুটিও মারা গেছে। খবর পেয়ে মৃত দুইজনের বাড়িতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন তুষার মিয়া নামের এক যুবক। রবিবার বিকালে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পিজাহাতী গ্রামের হাওরে এ ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বারী বকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তুষার বৃষ্টিতে ভিজে গরুর জন্য ঘাস কাটতে নৌকা নিয়ে গ্রামের পাশের হাওরে গেলে বজ্রপাতের শিকার হন। পরে তাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মিঠুন সুতার নামে এক কৃষক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিঠুন নিজ বাড়ির সামনে মাঠের পানিতে মাছ ধরার জন্য জাল নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।