খুলনা সিটি নির্বাচন
খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩ ১৮:২৬ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৩ ১৮:৪৪ পিএম
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। সংগৃহীত ফটো
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খুলনা সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও বহিষ্কৃতদের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা।
সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়াদের বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর আখ্যায়িত করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির সাবেক নেতাদের ব্যানারে দাওয়াত খাওয়া ও সভা করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (৩ জুলাই) মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হওয়া ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের আলী মিন্টুর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া ও সভা করা এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করা গণতন্ত্রকামী বিপুল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দলের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার শামিল।
নেতারা বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির বর্তমান অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে খুলনা সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে তারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনাকে এমন অবজ্ঞার জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে শমসের আলী মিন্টুসহ ৯ জনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে খুলনায় বহিষ্কৃত সকল নেতাকর্মীকে সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বানসহ দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন—বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, মহানগরের সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ।