আঞ্চলিক প্রতিবেদক, পটুয়াখালী
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৪ পিএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৫:০৯ পিএম
সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। প্রবা ফটো
পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়েবাড়িতে কাঁচা মরিচ ও সালাদ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুইজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মতি হাওলাদার, মো. জিসান, ফিরোজ হাওলাদার, সালেহা বেগম, মালেক হাওলাদার, মো. হাচিব, মো. রফিক মিয়া, মো. মিজান ও খালেক হাওলাদার প্রমুখ।
কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার বিকালে ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যায়। এ সময় খাবার টেবিলে মাছ, মাংস ও পোলাও দিলেও সেখানে কাঁচা মরিচ ও সালাদ দেওয়া হয়নি। পরে বরযাত্রী পক্ষের লোকজন খাবার টেবিলে কাঁচা মরিচসহ সালাদ চেয়ে বসে। বিষয়টি নিয়ে মেয়ে পক্ষের সঙ্গে ছেলে পক্ষের বরযাত্রীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, আহত দুইজনকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। এছাড়া অপর আহত রফিক ও মিজানকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, কোনো পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।