হিলি (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ২০:০৯ পিএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩ ২১:৪২ পিএম
বৃহস্পতিবার ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এলো আরও ৫৭ টন কাঁচা মরিচ। প্রবা ফটো
ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দেশে এলো আরও ৫৭ টন কাঁচা মরিচ। তবে এত আমদানির পরও কমছে না কাঁচা মরিচের দাম। এদিকে দেশীয় কাঁচা মরিচের দাম আবারও কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ হিলি বাজারে না দিয়ে নিজ চালানে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন আমদানিকারকরা।
স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ, যে হিলি দিয়ে আমদানি হয়েছে, সেই বন্দরের বাজারেই মিলছে না ভারতীয় কাঁচা মরিচ।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারকরা জানান, কাঁচা মরিচগুলো নিজ চালানে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গার পাইকারি কাঁচা মরিচ ক্রেতারা আগে থেকেই হিলিতে অবস্থান করছিলেন। কোরবানির ঈদের এক দিন আগে ২৬ জুন ভারতীয় পাঁচটি ট্রাকে ২৭ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছিল। সেগুলো আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়েই। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামালের দোকানগুলোতে কাঁচা মরিচ সরবরাহ কমেছে। তবে হিলি বাজারের দোকানগুলোতে ভারতীয় আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ দেখা যায়নি। এ দিন দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা বুধবার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এর কয়েক দিন আগে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ ও শাহিন বলেন, ‘কাঁচা পণ্য সকালে বাড়ে বিকালে কমে। আমরা বেশি দামে কিনলেই বেশি বিক্রি করি, আবার কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কিছুটা কম হয়। এখন সরববাহ কমে গেছে তাই দাম বাড়ছে।’
তারা বলেন, ‘আজ পাঁচবিবি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের পাইকারি দাম ছিল ২৮০ টাকা। আমরা খুচরা বিক্রয় করছি ৩২০ টাকা কেজি দরে। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও বাজারে সরবরাহ হয়নি। ভারতীয় কাঁচা মরিচ হিলি বাজারে এলে দাম আরও কমে আসবে।’
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুন ভারতীয় পাঁচটি ট্রাকে ২৭ মেট্রিক টন, ৫ জুলাই ভারতীয় চারটি ট্রাকে ২৯ টন ৯৮০ কেজি, বৃহস্পতিবার ভারতীয় সাতটি ট্রাকে ৫৭ টন ২৫০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।