নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৭:১২ পিএম
আরমান হোসেন ও কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো। প্রবা ফটো
ফেসবুকে পরিচয়। তারপর বন্ধুত্ব, প্রেম। সেই প্রেমের টানেই সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে এবার নোয়াখালীতে এসে ঘর বাঁধলেন ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুর তরুণী আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ঘাটলাবাগ এলাকার বারাই বাড়ির নুর আলমের ছেলে মো. আরমান হোসেনকে। আরমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত।
২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আরমানের সঙ্গে কারাঞ্জা সাওসিডোর পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তারপর প্রেম। ছয় বছরের ভালোবাসা পূর্ণতা পায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে।
আরমানের টানে গত রবিবার (২ জুলাই) বাংলাদেশে ছুটে আসেন পেরুর এই তরুণী। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বরণ করতে ছুটে যান আরমান। সেদিনই দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন ঢাকায় থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সাওসিডোকে নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিলে আসেন আরমান। পেরুর এই তরুণীকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। তাদের বাড়িতে মানুষের ঢল নেমেছে।
আরমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সাওসিডোর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে ছয় বছরের বন্ধুত্ব, প্রেম। আর সেই ভালোবাসার টানে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, নিজ ইচ্ছায় ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আরমানের কাছে এসেছি। সবার কাছে দোয়া চাই।
প্রতিবেশী মো. আরমান কাজী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ভিনদেশি তরুণী এসেছে শুনে সবাই আনন্দের সঙ্গে দূর-দূরান্ত থেকে দেখতে এসেছে। ভালোবাসা অসম্ভবকে সম্ভব করে এটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
ভিনদেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুশি আরমানের পরিবারও। আরমানের বাবা নুর আলম বলেন, ‘আমার ছেলের টানে পেরু থেকে তরুণী ছুটে এসেছে। গ্রামের বাড়িতে নববধূকে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। সে আমাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ।’