রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪৪ পিএম
অভিুক্ত অধ্যক্ষ সেলিম রেজা। প্রবা ফটো
সহকর্মী শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও মারপিটের অভিযোগে করা মামলায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গোদাগাড়ীর আদালত গত ৫ জুলাই এ পরোয়ানা জারি করলেও শনিবার (৮ জুলাই) তা জানাজানি হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. আহাদুজ্জামাকে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর পর ওই ঘটনায় চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে প্রতি মাসে বেতনের ৩ শতাংশ দাবি করেন অধ্যক্ষ সেলিম রেজা। তবে আহাদুজ্জামান তাতে রাজি না হলে তাকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের জন্য বলা হয়। নানামুখী চাপে তিনি ওই ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। এর পর থেকে ওই অধ্যক্ষ তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন। গত বছরের ২৫ অক্টোবর আহাদুজ্জামানকে ডেকে নিয়ে আবারও কলেজের অপর শিক্ষককে নিয়ে অর্থ দাবি করা হয় এবং না দেওয়ায় তাকে মারপিট করা হয়।
এই ঘটনায় রাজশাহীর একটি আদালতে আহাদুজ্জামান চাঁদাবাজির মামলা করেন অধ্যক্ষ সেলিম রেজার বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করে সংশ্লিষ্ট আদালতে। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গোদাগাড়ীর আদালত অধ্যক্ষ সেলিম রেজার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন গত ৫ জুলাই। একই মামলায় কলেজটির সহকারী অধ্যাপক ওমার কোরাইশীর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
মো. আহাদুজ্জামানের দাবি, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে সাময়িক বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ, তা পরে আদালতে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। তারপরও অধ্যক্ষ অবৈধভাবে আহাদুজ্জামানকে বরখাস্ত করে রাখেন এবং অর্থ দাবি করেন।
এদিকে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দাবি করেন, আহাদুজ্জামান তার কোচিং সেন্টারে নারীঘটিত বিষয়ে তিন মাস জেল খাটেন। এই ঘটনায় তাকে কলেজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এই ক্ষোভে তিনি এই মিথ্যা মামলা করেছেন।
অধ্যক্ষ আরও জানান, আহাদুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত থাকলেও তাকে নিয়মিত অফিসে আসা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার কথা ছিল, যা তিনি করেন না। এ কারণে তার পুরো বেতন বন্ধ রয়েছে।