গাইবান্ধা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩ ০০:৪৪ এএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৩ ১১:০৪ এএম
প্রবা ফটো
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী মহসীন আলী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধুর নাম শেফালী খাতুন। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লাপাড়ার কাদের মোল্লার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী মহসীন আলী একই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান স্বামীর আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার বিকালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মহসীন তার স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ঘরে রেখে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহসীন আলীর ঘর থেকে শেফালীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় বিছানার পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এতে লেখা ছিল ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার স্ত্রী কুফুরি করে। আমার মতো আর কোনো ছেলের জীবন যেন নষ্ট করতে না পারে। এ জন্য আমরা দুজন আত্মহত্যা করলাম। ইতি মহসীন + শেফালি।’
ওসি বলেন, 'অভিযুক্ত মহসীন আলী অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা ও সন্তান না হওয়ার কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল এবং স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন। এ ছাড়া স্ত্রী ‘কুফরি কালাম' করত, যা তার পছন্দ ছিল না। এসব কারণে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করছে বলে ধারণা করছি। তবে বিষয়টি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।'
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, ওই চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের ওপর থেকে সন্দেহ সরাতে তিনি এই কাজটি করেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।